‘জামি’ ও ‘মাদাখিলাহ’ বলা সম্পর্কে শাইখ সালিহ আল-ফাওযান

সালাফি দাওয়াহ বাংলা
শাইখ সালিহ আল-ফাওযানকে (حفظه الله) প্রশ্ন করা হয়:

সম্মানিত শাইখের কাছে আমরা অনুরোধ করছি তুল্লাবদের (আল-ইলম) মধ্যে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া একটি বিষয়ের ব্যাপারে যাতে বিবৃতি প্রদান করেন যা হচ্ছে, আমাদের কিছু সম্মানিত আলিমদেরকে যারা শুনে তাঁদেরকে ‘জামিয়্যুন’ ও ‘মাদাখিলাহ’ বলার মাধ্যমে তাঁদের জন্য অমর্যাদাকর নামের ব্যবহার, আর তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের শাইখ, আল-আলিম (رحمه الله), মুহাম্মাদ আমান আল-জামি, এবং আমাদের সম্মানিত শাইখ (حفظه الله وسدد خطاه), রাবি বিন হাদি আল-মাদখালি। আল্লাহ আমাদের নবি মুহাম্মাদের () ওপর সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন।

শাইখের জবাব:
এটি আমি মাত্র একটু আগে যে জবাব (দেওয়া) শেষ করেছি সেটার অন্তর্ভুক্ত হবে। এসব বিষয় ও মর্যাদাহানিকর নাম দেওয়া ছাড়ো, ‘এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না’ (৪৯:১১), আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তোমাদের বলেছেন, ‘এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না’ (৪৯:১১)। তোমাদের সবাই সহযোগী আর সকল প্রশংসা আল্লাহর। অতএব, এসব বিষয় পরিত্যাগ করো, এবং উলামাদেরকে সম্মান করো, উলামাদেরকে সম্মান করো। যে-ই উলামাদেরকে সম্মান করবে না, তাঁদের ইলম তার কাছ থেকে আটকে রাখা হবে, সে তাঁদের কাছ থেকে উপকার লাভকরা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হবে। তাই, একে অপরের জন্য মন্দ নাম ব্যবহার করা এবং মর্যাদাবান উলামাদেরকে আক্রমণ করা—এই বিষয়গুলো ছেড়ে দাও। মানুষের ওপর তাঁদের (উলামা) অবস্থান রয়েছে যাতে আল্লাহই তাঁদেরকে স্থাপন করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন’ (৫৮:১১)। একারণে, উলামাদের স্বীয় অবস্থান, মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। যখন উলামাদের ওপর ভরসা রাখা না হবে, তবে কার ওপর ভরসা করবে? যখন উলামাদের প্রতি আস্থা উঠিয়ে নেওয়া হবে, তখন মানুষ কাদের কাছে ফিরে যাবে? নিঃসন্দেহে এটি একটি কৌশল এবং লোকেদের মাঝে নিঃসন্দেহে এটি অনুপ্রবেশ। তাই, এব্যাপারে সচেতন হওয়া আবশ্যক। আবশ্যক হলো, এটা পরিহার করা, এ থেকে দূরে থাকা এবং এ থেকে নিষেধ করা। নাআম।
সোর্স: themadkhalis.com
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোনো কমেন্ট নেই
কমেন্ট করুন
comment url