শাইখ রাবি বিন হাদি আল-মাদখালির অবদান (Legacy)
﷽
সুমহান শাইখ, আল্লামাহ রাবি বিন হাদি (رحمه الله) ৯৬ বছর বয়সে ১৪৪৭ হিজরির ১৫ মুহাররাম, বৃহস্পতিবার রাতে (৯ জুলাই ২০২৫) তাঁর শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। তাঁর রচনাবলি ও লেখালেখির মাধ্যমে নবিদের মানহাজের আদলে তাওহিদের দিকে দাওয়াহ দেওয়া, সালাফদের পথের ওপর সুন্নাহর প্রতি আহ্বান করা এবং এসব মৌলিক ভিত্তির ওপর উম্মাহর ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে তিনি এক বিশাল অবদান (Legacy) রেখে গেছেন।
তাওহিদ ও সুন্নাহর অনুসারীরা তাঁর ইন্তেকালে শোকাহত, তবুও তারা জানে যে এটাই আল্লাহর কদর। এবং আল্লাহর সৃষ্টিজগতে তাঁর সুন্নাহর (নিয়ম) ব্যাপারে তাদের দৃঢ়প্রত্যয় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পক্ষান্তরে, পথভ্রষ্ট লোকেরা আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে। অথচ তারা জানে না যে, তাদের পূর্বসূরীরাও অনুরূপ বৃথা আনন্দে লিপ্ত হয়েছিল:
ইবনুল কাইয়িম (رحمه الله) বলেছেন:
সুতরাং, ঠিক যেমন:
[ইলমুল কালাম বা কালামশাস্ত্র]—ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলকে (رحمه الله) নিস্তব্ধ ও ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন বিদআতি ঘরানার শত্রুরা তাদের কালাম, ফালসাফা (দর্শন) এবং এর ওপর প্রতিষ্ঠিত যানদাকাহ রক্ষার স্বার্থে একত্রিত হয়েছিল; আর তারা পরাজিত ও লাঞ্ছিত হয়েছিল, এবং ইমাম আহমাদ পরবর্তী শতাব্দীগুলোর জন্য উম্মাহর জন্য হিদায়াহর ইমামে পরিণত হয়েছিলেন।
এবং, ঠিক যেমন:
[কালাম, ফালসাফাহ, রাফদ, সুফিয়্যাহ বা সুফিবাদ, বাতিনিয়্যাহ]—ইতিহাসের সংকটময় এক সন্ধিক্ষণে—সালাফদের পথ থেকে যখন উম্মাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল—বিভিন্ন বিদআতি ঘরানার শত্রুরা শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহর (رحمه الله) বিরুদ্ধে তাকে নিস্তব্ধ করতে, কারারুদ্ধ করতে ও হত্যা করার উদ্দেশ্যে একসাথে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল; আর তিনি সালাফদের পথের সাথে উম্মাহর পুনঃসংযোগ ঘটিয়েছিলেন, একে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন ও সমর্থন দিয়েছিলেন। এরপর আল্লাহ তাঁর খণ্ডন ও ব্যাখ্যামূলক রচনাবলির বিস্তৃতির মাধ্যমে তাঁকে উম্মাহর জন্য হিদায়াহর একজন ইমামে পরিণত করেন।
এবং ঠিক যেমনিভাবে:
[শিরক, পীর-দরবেশ ও কবরপূজা]—ইরাক-সহ অন্যান্য অঞ্চলের রাফিদাহ এবং বিভিন্ন স্থানের সুফি ও কবরপূজারিরা শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের (رحمه الله) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ করেছিল, কারণ তাওহিদের আলো তাদের সাধারণ মানুষের জন্য দাঁড় করা সেই বাতিল (মিথ্যা) দ্বীনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল, যে দ্বীনে মধ্যস্থতা ও সুপারিশকারীদের (শাফায়াত) মাধ্যমে দ্রুত ও সস্তায় নাজাত পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। ফলে তারা বারবার যুদ্ধ চালিয়েছিল; কিন্তু অবশেষে, আল্লাহ তাঁর নবি ও রাসুলদের সহযোগীদেরকে বিজয় দান করলেন, যেমনটা তিনি করে থাকেন। শাইখুল ইসলামের রচনাবলির দ্বারা দুনিয়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, বহু দেশ তাওহিদের আলোয় আলোকিত হলো, আর তাঁর রচনাসমূহ দিগদিগন্তে পৌঁছে গেল।
এরপর একইভাবে:
[রাফিদাহ, সুফিয়্যাহ, ইখওয়ানি রাজনীতি বা ইখওয়ানিয়্যাহ সিয়াসাহ জোট ও বকসালাফি অনুপ্রবেশ]—খাওয়ারিজদের সব দল-উপদল, ইখওয়ানি, তাকফিরি, তাহরিরি, হাদ্দাদি এবং নানাপ্রকার বকসালাফি (Pseudo-Salafis) অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যকার শত্রুরা শাইখ রাবিকে আক্রমণ করতে, তাঁকে নিস্তব্ধ করতে এবং অন্যান্য উলামাদের দিয়ে তাঁর বিপক্ষে বক্তব্য দিতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। যা তারা করেছিল তাদের খারিজি মানহাজের পুনরুজ্জীবিতকারী নেতা, যেমন: সাইয়িদ কুতুব, হাসান আল-বান্না, আবু আলা মাওদুদি এবং বকসালাফিদের রক্ষার স্বার্থে, যে আদর্শের সূচনা করে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে (কলহ-বিবাদ, বিপ্লব, যুদ্ধ, আগ্রাসনের মাধ্যমে) ফিতনাহর সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে হুজ্জাহ (প্রমাণ) ও বায়ান (স্পষ্টীকরণ)-এর মাধ্যমে বিজয় দান করলেন। পরিস্থিতি এমন গিয়ে দাঁড়ালো যে, মানুষ তাদের সেই বিদআতি নেতাদের নাম—যাদেরকে পূর্বে “হিদায়াহর ইমাম” বলে প্রচার করা হতো—ঘৃণা ও লাঞ্ছনার আশঙ্কায় আর প্রকাশ্যে উচ্চারণ করতে পারতো না। শাইখ রাবি আল্লাহর দিকে দাওয়াহ এবং বান্দা ও দেশের সংশোধনের ক্ষেত্রে আম্বিয়াদের মানহাজকে সালাফিয়্যাহর আবরণের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হারাকিয়্যিন, সিয়াসিয়্যিন, হিযবিয়্যিনদের (পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট) মানহাজ থেকে পৃথক করে দিয়েছিলেন।
শাইখের রচনা, লেখালেখি ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে বকসালাফি অনুপ্রবেশকারীদের বড়ো অংশ—যারা চরমপন্থা অথবা শৈথিল্য ও নম্র মনোভাবের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল—তাদের বাতিল নীতিমালা ধারাবাহিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনভাবে হয়েছে যে, সালাফি পথের সাথে একদিকে কঠোরতা ও চরমপন্থা, অন্যদিকে শিথিলতা ও আপসকামিতার পথের মধ্যকার পার্থক্য এখন কেউ দিবারাত্রির মতো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায়, আগামী দশক ও শতাব্দীজুড়ে এই রচনাবলি উম্মাহকে উপকৃত করতে থাকবে; তাওহিদ ও সুন্নাহর অনুসারীদেরকে চরমপন্থা ও উদাসীনতার মধ্যবর্তী মাঝামাঝি, ভারসাম্যপূর্ণ, পরিমিত পথের ওপর অটল-অবিচল থাকায় পথপ্রদর্শন করবে।
একজন আলিম ইন্তেকাল করলেও তাঁর ইলম উম্মাহর উপকার করতে থাকে। আর যারা বাতিল বিতর্ক করে এবং হক ও হিদায়াহর ইমামদের গালমন্দ করে, তাদের অবস্থা আল্লাহ একই আয়াতে যেভাবে উল্লেখ করেছেন তেমনই:
সুতরাং, এটাই আল্লাহর সুন্নাহ, আর আপনি আল্লাহর সুন্নাহয় কোনো বৈপরীত্য খুঁজে পাবেন না! আজ ইমাম আহমাদ, ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইবনু আব্দুল ওয়াহহাবের (رحمهم الله) শত্রুদের নাম-নিশানা কোথায়? তাদের সমস্ত নাম ও নিশানা তাদের বাতিল ও মিথ্যা অপবাদগুলোর সাথে সাথেই বিলীন হয়ে গেছে! তাই, আমরা কষ্ট পেলেও আল্লাহর ওয়াদার নিশ্চয়তা নিয়ে আমরা আনন্দিত।
ফুটনোট:
[১] সূরা আত-তাওবাহ: ৬৯
পক্ষান্তরে, পথভ্রষ্ট লোকেরা আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে। অথচ তারা জানে না যে, তাদের পূর্বসূরীরাও অনুরূপ বৃথা আনন্দে লিপ্ত হয়েছিল:
وَخُضۡتُمۡ كَٱلَّذِي خَاضُوٓاْۚ
আর তোমরাও সেরূপ অনর্থক আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত রয়েছো যেরূপ অনর্থক আলাপ-আলোচনায় তারা লিপ্ত ছিল। [১]
ইবনুল কাইয়িম (رحمه الله) বলেছেন:
এটা আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে বাতিল দ্বারা বিতর্ক করা, আর তা সংশয়বাদীদের অনর্থক তর্ক... এবং তা বিদআত ও যা এর অনুসরণ করে। [২]
সুতরাং, ঠিক যেমন:
[ইলমুল কালাম বা কালামশাস্ত্র]—ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলকে (رحمه الله) নিস্তব্ধ ও ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন বিদআতি ঘরানার শত্রুরা তাদের কালাম, ফালসাফা (দর্শন) এবং এর ওপর প্রতিষ্ঠিত যানদাকাহ রক্ষার স্বার্থে একত্রিত হয়েছিল; আর তারা পরাজিত ও লাঞ্ছিত হয়েছিল, এবং ইমাম আহমাদ পরবর্তী শতাব্দীগুলোর জন্য উম্মাহর জন্য হিদায়াহর ইমামে পরিণত হয়েছিলেন।
এবং, ঠিক যেমন:
[কালাম, ফালসাফাহ, রাফদ, সুফিয়্যাহ বা সুফিবাদ, বাতিনিয়্যাহ]—ইতিহাসের সংকটময় এক সন্ধিক্ষণে—সালাফদের পথ থেকে যখন উম্মাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল—বিভিন্ন বিদআতি ঘরানার শত্রুরা শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহর (رحمه الله) বিরুদ্ধে তাকে নিস্তব্ধ করতে, কারারুদ্ধ করতে ও হত্যা করার উদ্দেশ্যে একসাথে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল; আর তিনি সালাফদের পথের সাথে উম্মাহর পুনঃসংযোগ ঘটিয়েছিলেন, একে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন ও সমর্থন দিয়েছিলেন। এরপর আল্লাহ তাঁর খণ্ডন ও ব্যাখ্যামূলক রচনাবলির বিস্তৃতির মাধ্যমে তাঁকে উম্মাহর জন্য হিদায়াহর একজন ইমামে পরিণত করেন।
এবং ঠিক যেমনিভাবে:
[শিরক, পীর-দরবেশ ও কবরপূজা]—ইরাক-সহ অন্যান্য অঞ্চলের রাফিদাহ এবং বিভিন্ন স্থানের সুফি ও কবরপূজারিরা শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের (رحمه الله) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ করেছিল, কারণ তাওহিদের আলো তাদের সাধারণ মানুষের জন্য দাঁড় করা সেই বাতিল (মিথ্যা) দ্বীনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল, যে দ্বীনে মধ্যস্থতা ও সুপারিশকারীদের (শাফায়াত) মাধ্যমে দ্রুত ও সস্তায় নাজাত পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। ফলে তারা বারবার যুদ্ধ চালিয়েছিল; কিন্তু অবশেষে, আল্লাহ তাঁর নবি ও রাসুলদের সহযোগীদেরকে বিজয় দান করলেন, যেমনটা তিনি করে থাকেন। শাইখুল ইসলামের রচনাবলির দ্বারা দুনিয়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, বহু দেশ তাওহিদের আলোয় আলোকিত হলো, আর তাঁর রচনাসমূহ দিগদিগন্তে পৌঁছে গেল।
এরপর একইভাবে:
[রাফিদাহ, সুফিয়্যাহ, ইখওয়ানি রাজনীতি বা ইখওয়ানিয়্যাহ সিয়াসাহ জোট ও বকসালাফি অনুপ্রবেশ]—খাওয়ারিজদের সব দল-উপদল, ইখওয়ানি, তাকফিরি, তাহরিরি, হাদ্দাদি এবং নানাপ্রকার বকসালাফি (Pseudo-Salafis) অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যকার শত্রুরা শাইখ রাবিকে আক্রমণ করতে, তাঁকে নিস্তব্ধ করতে এবং অন্যান্য উলামাদের দিয়ে তাঁর বিপক্ষে বক্তব্য দিতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। যা তারা করেছিল তাদের খারিজি মানহাজের পুনরুজ্জীবিতকারী নেতা, যেমন: সাইয়িদ কুতুব, হাসান আল-বান্না, আবু আলা মাওদুদি এবং বকসালাফিদের রক্ষার স্বার্থে, যে আদর্শের সূচনা করে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে (কলহ-বিবাদ, বিপ্লব, যুদ্ধ, আগ্রাসনের মাধ্যমে) ফিতনাহর সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে হুজ্জাহ (প্রমাণ) ও বায়ান (স্পষ্টীকরণ)-এর মাধ্যমে বিজয় দান করলেন। পরিস্থিতি এমন গিয়ে দাঁড়ালো যে, মানুষ তাদের সেই বিদআতি নেতাদের নাম—যাদেরকে পূর্বে “হিদায়াহর ইমাম” বলে প্রচার করা হতো—ঘৃণা ও লাঞ্ছনার আশঙ্কায় আর প্রকাশ্যে উচ্চারণ করতে পারতো না। শাইখ রাবি আল্লাহর দিকে দাওয়াহ এবং বান্দা ও দেশের সংশোধনের ক্ষেত্রে আম্বিয়াদের মানহাজকে সালাফিয়্যাহর আবরণের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হারাকিয়্যিন, সিয়াসিয়্যিন, হিযবিয়্যিনদের (পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট) মানহাজ থেকে পৃথক করে দিয়েছিলেন।
শাইখের রচনা, লেখালেখি ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে বকসালাফি অনুপ্রবেশকারীদের বড়ো অংশ—যারা চরমপন্থা অথবা শৈথিল্য ও নম্র মনোভাবের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল—তাদের বাতিল নীতিমালা ধারাবাহিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনভাবে হয়েছে যে, সালাফি পথের সাথে একদিকে কঠোরতা ও চরমপন্থা, অন্যদিকে শিথিলতা ও আপসকামিতার পথের মধ্যকার পার্থক্য এখন কেউ দিবারাত্রির মতো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায়, আগামী দশক ও শতাব্দীজুড়ে এই রচনাবলি উম্মাহকে উপকৃত করতে থাকবে; তাওহিদ ও সুন্নাহর অনুসারীদেরকে চরমপন্থা ও উদাসীনতার মধ্যবর্তী মাঝামাঝি, ভারসাম্যপূর্ণ, পরিমিত পথের ওপর অটল-অবিচল থাকায় পথপ্রদর্শন করবে।
একজন আলিম ইন্তেকাল করলেও তাঁর ইলম উম্মাহর উপকার করতে থাকে। আর যারা বাতিল বিতর্ক করে এবং হক ও হিদায়াহর ইমামদের গালমন্দ করে, তাদের অবস্থা আল্লাহ একই আয়াতে যেভাবে উল্লেখ করেছেন তেমনই:
أُوْلَٰٓئِكَ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ
ওরা তারাই যাদের আমল দুনিয়া ও আখিরাতে নিস্ফল হয়ে গেছে, আর তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। [৩]
সুতরাং, এটাই আল্লাহর সুন্নাহ, আর আপনি আল্লাহর সুন্নাহয় কোনো বৈপরীত্য খুঁজে পাবেন না! আজ ইমাম আহমাদ, ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইবনু আব্দুল ওয়াহহাবের (رحمهم الله) শত্রুদের নাম-নিশানা কোথায়? তাদের সমস্ত নাম ও নিশানা তাদের বাতিল ও মিথ্যা অপবাদগুলোর সাথে সাথেই বিলীন হয়ে গেছে! তাই, আমরা কষ্ট পেলেও আল্লাহর ওয়াদার নিশ্চয়তা নিয়ে আমরা আনন্দিত।
আবু ইয়াদ আমজাদ বিন মুহাম্মাদ রফিক (حفظه الله)
১৫ মুহাররাম ১৪৪৭ / ১০ জুলাই ২০২৫ [৪]
ফুটনোট:
[১] সূরা আত-তাওবাহ: ৬৯
[২] মিসবাহ আল-তাফাসির আল-কুরআনিয়্যাহ (৬/৩৯৯)
[৩] সূরা আত-তাওবাহ: ৬৯
[৪] abuiyaad.com